ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেবহাটায় কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিকার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন 

দেবহাটায় কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিকার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন 

দেবহাটায় দোকানে ডেকোরেশনের কাজ করার নামে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিকার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর, ২৩ ইং সকাল ১১টায় দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে সম্মেলনটি করেছেন দেবহাটা উপজেলার মাঝ সখিপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার ভগ্নিপতি ইটালি প্রবাসি ইছা আমিন পারুলিয়া বাজারে স্বপ্ন বাজার নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তৈরি করার সময় দোকানের ইন্টেরিয়র ও ডেকোরেশন করার জন্য সাতক্ষীরার রাজার বাগান এলাকার সেলিম গাজীর ছেলে আশরাফুল আলম সবুজ নামে একজনকে দায়িত্ব দেন।

সবুজকে ১৬ মিলি মেলামাইন, উন্নত মানের লাইটিং ও রং দিয়ে ডেকোরেশন করার কথা বললে সে হিসাব করে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচের কথা আমাদেরকে জানায়। তখন আমার ভগ্নিপতি সবুজকে চুক্তি অনুযায়ী কাজ শুরু করার কথা বলে দেয়। পরে সবুজ চতুরতার সাথে আমাদেরকে বলে, দোকানের ডেকোরেশনের মালামাল আপনারা কিনতে গেলে ঠকে যেতে পারেন তাই আমি যেহেতু মিস্ত্রি দায়িত্বটা আমাকে দিলে আমার কাছে কোন খারাপ মাল দিতে পারবেনা। আমরা সবুজের কথায় বিশ্বাস করে তার উপরে দায়িত্ব দিয়ে কাজ করতে বলি। পরে সবুজ কাজ শুরু করে এবং দফায় দফায় টাকা নিতে থাকে।

কাজ শুরুর একপর্যায়ে আমার ভগ্নিপতি ও আমরা দেখি সবুজ চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করে ৮,১০ ও ১৬ মিলি উডটেক্স দিয়ে কাজ করছে। তখন তাকে আমরা কাজ বন্ধ করার কথা জানালে সে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে যেহেতু আমরা নতুন তাই আবারো কাজ করতে থাকে। কিছুদিন পরে কাজের মান খারাপ হচ্ছে আমরা বুঝতে পেরে সবুজকে কাজ বন্ধ করার কথা বললে সে আমাদের নিষেধ না শুনে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করতে থাকে। ইতিমধ্যে সবুজ আমার দোকানের ডেকোরেশন ও আইপিএস দেয়ার নাম করে বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিং, একাউন্টের মাধ্যমে ও নগদ ক্যাশে বিভিন্ন দফায় মোট ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৫২৬ টাকা গ্রহন করেছে যার সমস্ত প্রমান আমাদের কাছে আছে। সবুজের কাজ মানসম্মত বা আমাদের চুক্তি অনুযায়ী না হওয়ায় তাকে বারবার বলার পরেও সে শোনেনি এমনকি আইপিএসও লাগাইনি। যার কারনে তার কাছে আমরা টাকা ফেরত চাইলে সে আরো উল্টো আমাদের কাছে টাকা পাবে বলে হুমকি দেয়। আমরা তার কাছে হিসাব বা মেমো চাইলে সে ভূয়া ভাউচার প্রদান করে।

আমার ভাগনে হাসিব সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের স্নাতকে পড়াশুনা করে। প্রতারক সবুজ ইতিমধ্যে তার টাকা না দিলে আমার ভাগনেসহ আমাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করবে বলে আমার মোবাইলে ও বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও আমাদের স্বপ্ন বাজার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করতে সবুজ নানাভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এবিষয়ে হামিদুল উক্ত প্রতারক আশরাফুল আলম সবুজের সুষ্ঠু বিচার ও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।

সম্মেলন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত